ডেস্ক রিপোর্ট
টরন্টোতে নির্মিত স্থায়ী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্মৃতিস্তম্ভের ফলক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। সিটি মেয়র জন টরি ডেন্টোনিয়া পার্কে এ স্মৃতিস্তম্ভের ফলক উন্মোচন করেন। একইসাথে এটি সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ফলক উন্মোচন উপলক্ষে ডেন্টোনিয়া পার্কের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে আয়োজিত বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র ছাড়াও এমপি নাথানিয়েল এরিস্কিন স্মিথ, এমপিপি ডলি বেগম, এমপিপি রীমা বার্ন্স ম্যাকওয়াইন, সিটি কাউন্সিলর ব্র্যাড ব্র্যাডফোর্ড, কাউন্সিলর গ্যারি ক্রোফোর্ড, সাবেক কাউন্সিলর জেনেট ডেভিস, কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার ডক্টর খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র টরি বলেন, মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে এখনও অনেকে লড়াই করে যাচ্ছে। ডেন্টোনিয়া পার্কের এ স্মৃতিস্তম্ভ সবার, এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, টরন্টো এ স্থাপনা করতে পেরে আনন্দিত। হাই কমিশনার খলিলুর রহমান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার দুই রূপকার রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালামের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন।
এমপি নাথানিয়েল এরস্কাইন স্মিথ বলেন, স্মৃতিস্তম্ভ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হলো। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে জড়িত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, যারা আর্থিক, শ্রম এমনকি প্রার্থনা করেও সমর্থন দিয়েছেন সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এমপিপি ডলি বেগম বলেন, কানাডার আদিবাসী শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের ঘটনা এবং ভাষা আন্দোলনের চেতনা একইসূত্রে গাঁথা। এ কারণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকে সাধুবাদ জানাই।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে ‘অর্গানাইজেশন ফর টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে মনুমেন্ট ইনকর্পোরেশন’ স্মৃতিস্তম্ভের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণের দায়িত্বে ছিল আলবিয়ন বিল্ডিং কনসালটেন্ট ইনকর্পোরেশন।